October 22, 2024, 7:24 am

আক্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষকরা; ঘটছে হত্যা-হামলা-লাঞ্চনা-নির্যাতনের মতো ঘটনা

আক্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষকরা; ঘটছে হত্যা-হামলা-লাঞ্চনা-নির্যাতনের মতো ঘটনা

  • দায়সারা কর্মসূচী শিক্ষক সমিতিগুলোর; সাম্প্রতিক ঘটনায় মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটি।
  • একযুগে বরিশালে শিক্ষকদের উপর অন্তত ১০টি হামলার ঘটনা।

নূরুল হাসান সাক্ষর ⇒ সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকদের উপর হামলা-লাঞ্চনার মতো ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হয়েছে শিক্ষক হত্যার মতো ঘটনাও। বরিশাল বিভাগেও সাম্প্রতিককালে শিক্ষকের উপর হামলা-লাঞ্চনা-নির্যাতনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ সাভারে শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার মত ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে। আর এবিষয়ে যেন নড়ে চরে বসেছে সচেতন সমাজ থেকে প্রশাসন। অতি সম্প্রতি গত মাসে, বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলামের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফ্লাট সংক্রান্ত ঘটনার কারনে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন তিনি।

পরবর্তীতে হামলাকারীকে প্রশাসন অতি দ্রুত গ্রেফতার করে।তখন সংবাদমাধ্যমে চন্দ্রদ্বীপ টাওয়ারের ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিএম কলেজের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্ত মামুন ওই ভবনের নিচতলায় সিড়িতে ওঠার পথ দখল করে কমিউনিটি সেন্টার বানায়। বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে জানালে তারা দেয়াল ভেঙে দেয়। এ ছাড়া মামুন ওই ভবনের নিচতলায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে আড্ডা দিতো।

এসব বিষয় নিয়ে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে মামুন ও তার সহযোগীরা মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে জুন মাসের ২১ তারিখ পটুয়াখালী জেলার বাউফলে এক নারী স্কুল শিক্ষককে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে জখম করা হয়। এসময় তাকে রক্ষা করতে এসে অপর এক স্কুল শিক্ষক হামলার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে নারী শিক্ষককে উন্নত চিকিৎসার জন্য  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চলতি বছর এপ্রিল মাসে ভোলার লালমোহন উপজেলার ভেদুরিয়া সেরাজিয়া ফাজিল মাদরাসার সিনিয়র আরবী প্রভাষক মাওলানা মো. বশির উল্যাহর উপর মাদরাসার সামনে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ধলীগৌরনগর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহে আলমের বড় ভাই ছবিরুল হক ও তার সহযোগিরা।

পরে স্থানীয়রা বশির উল্যাহকে উদ্ধার করে লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ কর। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকি বন্দরের এক শিক্ষকের উপর হামলার হামলার ঘটনা ঘটে, স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় হামলা চালিয়ে এক শিক্ষকের হাত ভেঙ্গে দিয়েছে বখাটে ও তার সহযোগিরা। ঘটনাটি  পূর্বে সংঘঠিত হলেও হামলাকারীদের হুমকির মুখে মামলা দায়ের করতে সাহস পাননি হামলার শিকার ওই শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা। নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক কমল হালদার জানান, টরকী বন্দর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিলো সুন্দরদী গ্রামের পালপাড়ার দীপক কর্মকারের বখাটে পুত্র নয়ন কর্মকার।

অতিসম্প্রতি বিষয়টি ছাত্রীর অভিভাবকরা তাকে জানানোর পর সে (শিক্ষক) বখাটে নয়ন কর্মকারকে ডেকে স্বাশিয়ে দেয়। এতে ওই বখাটে তার (শিক্ষক) উপর ক্ষিপ্ত হয়। তিনি আরও জানান, সেই ঘটনার কয়েকদিন পর নয়ন কর্মকারের বাসার পাশের একটি বাসায় প্রাইভেট পড়িয়ে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাত নয়টার দিকে টরকী বন্দর সংলগ্ন বণিক বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বখাটে নয়ন কর্মকার ও তার সহযোগিরা পথরোধ করে ক্রিকেটের ষ্টাম্প দিয়ে অতর্কিতভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ডান হাত ভেঙ্গে দেয়।

এসময় তার (শিক্ষক) চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ও পরেরদিন সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। বরিশালে ২০২০ সালে ২৫ আগষ্ট পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেসরকরি নার্সিং ইনস্টিটিউটের সাবেক খন্ডকালীন শিক্ষক মিজানুর রহমান সজলকে  নগরীর চৌমাথা থেকে ধরে গোরস্থান রোড এলাকায় নিয়ে যায় তারই সাবেক ছাত্র ইমতিয়াজ ইমন ও তার সহযোগীরা। সেখানে তারা ওই শিক্ষককে শারীরিক নির্যাতন করে কান ধরিয়ে উঠবস করায় এবং ইমনের স্ত্রী মনিরার পায়ে ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করে।

পরে ওই দৃশ্যের ধারনকৃত ভিডিও চিত্র কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর শিক্ষক মিজানুর রহমান বরিশাল থেকে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে চলে যান। পরে তাকে থানায় ডেকে এনে মামলা নেয়া হয়। খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বরগুনার তালতলী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ আব্দুর রহমানকে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে  এক সন্ত্রাসী।

তালতলী সরকারী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ আব্দুর রহমান প্রতিদিনের ন্যায় সেদিনও তার কলেজে অধ্যায়নরত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে রাত ১০টার দিকে বাসায় যায়। রাতে খেয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান ২টার দিকে মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক সন্ত্রাসী ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এতে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখন হয়।

তার ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসার শামীম রেজা, প্রতিবেশী জামালের বাসার লোকজন এগিয়ে আসতে চাইলেও তারা  ঘর থেকে বের হতে পারেনি। সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ মে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে মাদ্রাসার জমি দখলে বাধা এবং পরিচালনা পর্ষদে জায়গা না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হয়। এসময় তার মাথায় মল ঢেলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক আট জনকে আসামি করে মামলা করার পর মঞ্জু হাওলাদার নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল বরিশাল জেলার জাতীয় বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের বৈশাখী ভাতাসহ ৩ দফা দাবিতে বের করা কালোপতাকা মিছিলে পুলিশি বাধা এবং হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, ঐদিন বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে কালো পতাকা নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী এবং পুলিশের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে এর বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনা ঘটে, মেয়ে বন্ধুকে ক্লাস থেকে বের হতে না দেয়ায় ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের চিফ ইন্সট্রাক্টর শফিউল ইসলামকে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ইলেক্ট্রমেডিকেল বিভাগের ছাত্র ইস্রাফিল মীম। ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী  শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে বিএম কলেজের আগের অধ্যক্ষ ননী গোপাল দাসকে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পদে এবং  বিএম কলেজের বদলি করা হয়। কলেজে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু যুবক অধ্যাপক শংকর চন্দ্র দত্তকে লাঞ্ছিত করে।

যে ঘটনাটি সেসময় বেশ আলোচিত হয়। খোজ নিয়ে জানা যায়, ঐ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ সেইসময় কয়েকজনকে আটক করে। কিন্তু পরবর্তীতে এরকম ঘটনার আর কোন অগ্রগতি চোখে পড়ে নি। শুধুমাত্র গত ৬ মাসেই সারাদেশে অন্তত ১০ শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে শিক্ষক নেতারা বলছেন, এসব ঘটনার বেশির ভাগেরই তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে শিক্ষক লঞ্ছনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে জানাযায়, শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সাভারের আশুলিয়ার ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপুল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যা করে ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে শিক্ষক সতর্ক করলে ওই ছাত্র তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এদিকে নড়াইলে মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করা হয়।

শিক্ষকদের উপর এই ধরণের হামলার ঘটনা গত ৬ মাসে অন্তত ১০টি। গত কয়েক বছরে মানিকগঞ্জ , চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া , ময়মনসিংহ , বগুড়া, পাবনা, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা, কুড়িগ্রাম , হবিগঞ্জ , ফরিদপুর, সাতক্ষীরা , রাজশাহী , কক্সবাজার , সোনারগাঁও , বাগেরহাট , টাংগাইল, নড়াইল , ফরিদগঞ্জ , মতলব, জগন্নাথপুর , কচুয়া, কমলগঞ্জ, লোহাগড়া , মাদারীপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শিক্ষকদের উপর এ ধরণের হামলার ঘটনায় তেমন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক নেতারা। তাদের সুরক্ষায় শিক্ষামন্ত্রণালয়কে আরো শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সাভার ও নড়াইলে শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা দুইটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। কোন একটি ঘটনা যখন ঘটে তখনই শিক্ষক সমিতিগুলো কিছুটা দায়সারা ভাবের লোক দেখানো প্রতিবাদ মুখর কর্মসূচীর দেখা মেলে।

মূলত এরকম কর্মসূচীগুলো বিগত ঘটনা গুলোতে কোন প্রভাব ফেলতে পারে নি। সমিতিগুলো এরকম দায়সারা কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদের সহকর্মীদের হত্যা কিংবা হামলার মতো ঘটনার ব্যাপারে কোনরকম ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে নি। প্রায় সব শিক্তিষক সমিতিগুলো এখন দলীয় রাজনীতির কারণে বিভক্ত। নেতারা নানা পদ,পদবি, পদোন্নতিসহ নানা বিষয় নিয়ে তারা ব্যস্ত থাকেন। তাই শিক্ষক সমিতিগুলো শিক্ষকদের বিষয় নিয়ে কাজ করার তেমন সময় পায় না।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক নির্যাতনের শিকার হলে অন্য পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা প্রতিবাদের ভারও প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপরই ছেড়ে দেন। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও অন্যরা একই রকম চিন্তা করেন। কোনো মাদ্রাসা শিক্ষক নির্যাতনের শিকার হলে বাকিদের তা নিয়ে তেমন আগ্রহই দেখা যায় না। এখন শিক্ষকদের যে দুইশরও বেশি সংগঠন আছে, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে।

শিক্ষক সংগঠনগুলো বাস্তবে এখন বিবৃতি এবং ফেসবুক প্রতিবাদেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নেতা জানান , “আগে সমিতিগুলো জাতীয় রাজনীতি , স্থানীয় রাজনীতির প্রভাব এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারনে এরকম হামলার ঘটনাগুলোতে নীরব থাকতো, এরসাথে এই বিগত বছর গুলোতে যোগ হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের সাথেও সুসম্পর্ক রাখার বিষয়টা। আর তাই সমিতিগুলো শুধুমাত্র লোকদেখানো মানববন্ধনের মতো কম প্রতিবাদমুখর কর্মসূচী দিতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করে, যার ফলে প্রতিবারই এরকম হামলা-লাঞ্চনার ঘটনাগুলোতে অভিযুক্ত মহলরা পার পেয়ে যায়। সেজন্যই এরকম হামলার ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © All rights reserved © 2024 DailyBiplobiBangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com